সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোটে হেরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের ডেকোরেশন ভেঙে সব আসবাবপত্র ও মালামাল নিয়ে গেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সিলেটজুড়ে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬ হাজার ১৫ ভোটে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন। পরাজিত হওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিত অফিসও করছেন না। গত মঙ্গলবার সকালে আটজন শ্রমিক নিয়ে অফিসে এসে ডেকোরেশন খোলার কাজ শুরু করেন। বিকেল ৩টার দিকে অফিসের চেয়ার, টেবিল, সোফাসেট, কাঠের আলমারিসহ সব আসবাবপত্র ট্রাকে করে নিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে কয়েকজন শ্রমিক হাতুড়ি দিয়ে ডেকোরেশন ভাঙছেন। পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানদের নামফলকের বোর্ড মাটিতে পড়ে আছে। এসির যন্ত্র ঝুলছে লাইন খুলে। চেয়ারম্যানের কক্ষে কয়েকটি চেয়ার ছাড়া কোনো আসবাবপত্র নেই।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম বলেন, ‘শামীম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদায়বেলায় তিনি চেয়ারম্যানের সরকারি কার্যালয়ের ডেকোরেশন ভাঙচুর করে ও আসবাবপত্র নিয়ে গেছেন। আমি জানি একটি সরকারি অফিসে ব্যক্তিগত অনুদানে কাজ করলে সেটিও সরকারি মাল হয়ে যায়। তিনি যে কাজ করেছেন তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
শামীম আহমদ বলেন, ‘ইচ্ছেকৃত অফিসের মালামাল নিয়ে আসিনি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম রাখার জন্য, তিনি বলেছেন আমার জিনিস নিয়ে যেতে। এগুলো তো নিয়ে যাওয়ার জন্য লাগাইনি। এখন রাখতে না চাইলে কী করব?’
ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ জানান, ডেকোরেশন ভেঙে মালামাল নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান শামীম আহমদকে অনুরোধ করা হয়েছিল না নিয়ে যেতে। কিন্তু তিনি তা না শুনে মালামাল নিয়ে গেছেন।