অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। রোববার (১২ জুন) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিবদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়।
নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা শতভাগ স্বাধীন বলি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের মাধ্যমেই অনেক কিছু করতে হয়। ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই। এটা কোনো দেশে হয় না। তাছাড়া তারা আসলে কোনো কাজেও আসে না। নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা তাদের পেছনে চলে যায়।
সাবেক এই সিইসি বলেন, বর্তমানে প্রায় একটা থানার সমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকে। তাছাড়া ইভিএম এমন একটা পদ্ধতি যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে আমাদের জনবল দেওয়া হয়েছিল। যারা যোগ্য তাদের রাখতে হবে। আর কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসনকে রাখতে হবে। অনেক অভিযোগ থাকবে। সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক অভিযোগ সত্যও হয় না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।