আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির থাকা নিয়ে আশঙ্কা আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরবিষয়ক উপকমিটির মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আরেকটি চমৎকার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেওয়ার এই কঠিন লড়াইয়ে কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সংকট পেরিয়ে যেতে যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, সেটিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে এগিয়ে যেতে হবে। এর কোনো রকম ব্যত্যয় হওয়া যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, খুব চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি আমরা। নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য বিএনপি ষড়যন্ত্র-সন্ত্রাস করছে। এখানে বিদেশিদের কারও কারও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। এখানে এয়ারবেস করার পরিকল্পনাও আছে।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির থাকা নিয়ে আশঙ্কা আছে : ওবায়দুল কাদের
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ শুধু নির্বাচন নিয়ে ভাবে। এতে সম্মানের সঙ্গে জেতা চ্যালেঞ্জ। এটি অতিক্রম করতে হবে। এবার বিএনপি অংশ না নেওয়ায় গোটা দুনিয়ার যে প্রতিক্রিয়া তা কাটাতে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি একেবারে নগণ্য, এভাবে চললে হবে না। কারণ, প্রতিপক্ষের উপস্থিতি সেখানে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। ফলে আমাদের ঢিমেতালে চলার সুযোগ নেই। এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে। এখনো বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়নি, সুপ্ত আছে। সেই হিসেবে সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের দলের অভ্যন্তরীণ কথা বলেছেন। শুধু একটি কথাতেই জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন আসবে- এমনটি নয়। দল হিসেবে জাপার সঙ্গে এলায়েন্স হবে না- এটা এখনো প্রধানমন্ত্রী বলেননি। নেত্রী কোনো নির্দেশনা দিলে সেটি আমরা পালন করি। জাতীয় পার্টির নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং জনমনে আশংকা আছে। তবে সেটি এখনই নিশ্চিত বলা সম্ভব নয়।
খুলনা গেজেট/ এএজে