যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেলেন নিপুন বিশ্বাস। তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের গর্বিত শিক্ষার্থী।
সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন বিকেল ৫টায় ভর্তির তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ৩১ জানয়ারি সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপস্থিত হতে বলা হয় নিপুনকে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ভর্তি হতে কম সময় এবং নিপুণের বাড়ি থেকে যবিপ্রবির দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে তিনি যবিপ্রবিতে পৌঁছান। এ কারণে তার ভর্তি নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নীলফামারীর সদর উপজেলা লক্ষীচাপ এলাকার হতদরিদ্র প্রেমানন্দ বিশ্বাসের ছেলে নিপুণ। তার বাবা পেশায় নরসুন্দর। নিপুণ ভর্তি হতে না পেরে হতাশায় পরিবারের কাছে ফিরতেও পারছিলেন না। হতাশাগ্রস্ত নিপুণ ভর্তি বঞ্চিত হওয়ার একদিন পার হলেও ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন ভর্তির আশায়। বিষয়টি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনের নজরে আসার পর মানবিক দিক ও নিপুনের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্যের উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় নিপুন বিশ্বাসের ভর্তির বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিপুন ভর্তির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আব্দুর রশিদ জানান, নিপুনের ভর্তির সকল কাজ শেষ হয়েছে। তিনি এখন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের গর্বিত শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ