খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির আগস্ট মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, সাইবার জগত বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে অনেক অপশক্তি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এমনকি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টেরও প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিতর্কিত পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা যাবে না। স্কুল-কলেজ পড়–য়া কিশোর-কিশোরীদের প্রতি অভিভাবকদের আরও যতœশীল হতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীগুলো নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। তবে ইয়াবার মতো ক্ষুদ্রাকৃতির মাদক লুকিয়ে পরিবহন করা সহজ হওয়ায় এসকল মাদক আটক করা চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতমাসে জেলায় মাদক সংক্রান্ত ৯১টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া সড়ক পরিবহন আইনে জেলায় বিগত মাসে ৭২৯টি মামলা হয়েছে এবং ১৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জী সভায় বলেন, জেলায় ভোগ্যপণ্যের মধ্যে ডিমের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালোমানের ফার্মের মুরগীর ডিম পাইকারি বাজারে ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রী হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন সড়কের বিপদজনক বাঁকগুলো সোজা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বর্ষার সময় উচ্চগতিতে যানবাহন চালালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে তাই যানবাহনের চালকদের নিয়ন্ত্রিত গতিতে যান চালনার জন্য নির্দেশনা দিতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জুলাই মাসে ২০৩টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা বিগত জুন মাসে দায়ের হওয়া মামলা সংখ্যার চেয়ে ২৮টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে জুলাই মাসে ১৭৬টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা বিগত জুন মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৫৩টি বেশি।
পরে একইস্থানে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জেলা পর্যায়ের সমস্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম বায়েজিদ ইবনে আকবর, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল