খুলনার পাইকগাছায় নিখোঁজের তিন দিন পর চিংড়ি ঘেরে ভাসমান অবস্থায় বিশ্বজিৎ সানা নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৭ টার দিকে স্থানীয়রা সোলাদানা আমুরকাটা দীঘা সীমাণায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চিংড়ি ঘেরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বিশ্বজিৎ সানা সোলাদানা ইউনিয়নের আমুরকাটা গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন সানার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাতে সে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তবে পরের দিন সকালে তাকে আর ঘরে দেখা যায়নি। সেই থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ঘটনার পর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পরও পরিবারের লোকজন তার কোন সন্ধান পায়নি।
সর্বশেষ বুধবার সকালে স্থানীয় সুশান্ত নামে পার্শ্ববর্তী জনৈক পঙ্কজ সরদারের চিংড়ি ঘেরে তার লাশ ভাসতে দেখে প্রথমে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে বিশ্বজিতের বলে শনাক্ত করলে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে সেখানে ফেলে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিহত যুবক কোন ঘেরে মাছ চুরি করে পিটুনির শিকার হতে পারে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাইকগাছা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আনজির হোসেন জানান, বিশ্বজিৎ সানা গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয়দের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি জানান, নিহত বিশ্বজিৎ এলাকায় রাতে চুরি করে মাছ ধরতো। ঘটনার রাতে কোনো ঘেরে মাছ ধরতে গেলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ব্যাপকভাবে তদন্ত কাজ চলছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত বিশ্বজিতের হত্যার মোটিভ উদঘাটনে চুরি ও পরকীয়ার সূত্র ধরে তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম