ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আজ সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে এ মামলা দায়ের করা হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ মামলা দায়ের করবেন।
এর আগে, জেলা প্রশাসককে (ডিসি) হুমকি ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে।
ইসি সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচন কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হুমকি ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন নিক্সন চৌধুরী। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অশোভন আচরণের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয়। সূত্র আরও জানায়, ওই চিঠি পর্যালোচনা করে কমিশন সচিবালয় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত গালিগালাজের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত জানিয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমার আর ইউএনওর কথাই শুধু ভাইরাল হয়নি, পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনওর কথাও ভাইরাল হয়েছে। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য কোনো মহল কাজটা করেছে। এটা সরকারের দায়িত্ব খুঁজে বের করা। আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে তবে ডিসির বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমি যদি নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করি তাহলে পরদিন সকালে ডিসি সাহেব নির্দেশ দিয়ে ইউএনওকে কেন আমার বাড়িতে পাঠালেন? ইউএনও কি নির্বাচনকালীন ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আমার বাড়িতে আসতে পারেন? তাহলে তো তিনিও আইন ভঙ্গ করেছেন। আমার কথা হল, আমি যদি আইন ভঙ্গ করে থাকি তাহলে ডিসি সাহেব আইন ভঙ্গ করেছেন, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন। তার বিরুদ্ধেও ক্যাবিনেটে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমি যদি কোনো আইন ভঙ্গ করে থাকি তবে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমার একার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে? আইন ভঙ্গ তো ডিসিও করেছেন।
খুলনা গেজেট /এমএম