ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব সময় বিশেষ অংশীদারিত্ব ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে নিকটতম সম্পর্কেরও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। ভারত সরকার তাকে সেই নির্দেশই দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ভারত ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেন ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হবে। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তার মেয়াদে প্রধান লক্ষ্য হবে দু’দেশের মধ্যে ‘কানেকটিভিটি’ তথা জনগণের সঙ্গে জনগণের আরও সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করা। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ যেন সবচেয়ে কম খরচে পায়, সেজন্যও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব কৌশলগত অংশীদারিত্বের অনেক ঊর্ধ্বে। এই সম্পর্কের উৎস পারস্পরিক শ্রদ্ধা। এই বন্ধুত্ব রচিত হয়েছে অভিন্ন ত্যাগ, সংস্কৃতি এবং আত্মীয়তার অনন্য সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশকে ভারত সর্বোচ্চ স্তরের গুরুত্ব দেয় এবং এটি কখনোই কমবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মানিত। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্রুততম গতিতে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ভারত অভিনন্দন জানায়।
তিনি আরও বলেন, নিকটতম সম্পর্কেরও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। ভারত সরকার তাকে ঢাকায় হাইকমিশনার হিসেবে আসার আগে সেই নির্দেশই দিয়েছে। এ নির্দেশ ভারত সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল শুরুর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় একটি বিশেষ ‘এয়ার বাবল’ (আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলে দ্বিপক্ষীয় বিধি ব্যবস্থার একটি দলিল) ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতেই কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ যেন সবচেয়ে কম খরচে ভ্যাকসিন পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত সব ইস্যু সমাধানে ভারত-বাংলাদেশ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।