ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রোলিংসের সাত খন্ডের হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বিখ্যাত সিনেমা ‘হ্যারি পটার’ এর প্রফেসর আলবাস ডাম্বেলডোর চরিত্রে অভিনয় করা স্যার মাইকেল গ্যামবন মারা গেছেন।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৮২ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেতার।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রিয় মাইকেল গ্যামবন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন।
মাইকেল গ্যামবন টেলিভিশন, ফিল্ম ও রেডিওতে বিভিন্ন বিভাগে কাজের জন্য পরিচিত। ১৯৮০-এর দশকে হিট সিরিজ ‘দ্য সিঙ্গিং ডিটেকটিভ’-এ সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্লিউথের চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন।
তিনি অভিনয়ে আসার আগে একজন টুলমেকার ছিলেন। ডাবলিনের ক্যাবরাতে জন্ম হলেও ছোটবেলায় লন্ডনে চলে আসেন গ্যামবন। ক্যামডেনের একটি আইরিশ অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়ে উঠেন এবং তার প্রথম কাজ ছিল শিক্ষানবিশ টুলমেকার হিসেবে। অ্যান্টিক বন্দুক, ঘড়ি ও ক্লাসিক গাড়ির প্রতি আবেগ তৈরি হয় তার। যা পরবর্তীতে স্থায়ী আবেগে রূপ নেয়।
২০০৪ সালে গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমি সবসময় জিনিসগুলোর প্রতি আবেশি সংগ্রাহক ছিলাম। রিচার্ড ব্রায়ার্স স্ট্যাম্প সংগ্রহ করেন। আর আমি গাড়ি এবং বন্দুক সংগ্রহ করি; যা অনেক ব্যয়বহুল এবং সংরক্ষণ করা অনেক বেশি কঠিন।
একজন টুলমেকার হিসেবে শিক্ষানবিশ থাকার সময় রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে পড়ালেখা করেন তিনি। ডাবলিনের দ্য গেট থিয়েটার প্রোডাকশন ‘ওথেলো’ (১৯৬২) থেকে প্রফেশনালি মঞ্চে ডেবিউ করেন গ্যামবন।
দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে সিনেমা, থিয়েটার ও রেডিওতে বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তবে হ্যারি পটার সিনেমায় বেশি দেখা গেছে তাকে। আটটি পর্বের মধ্যে ছয়টিতেই প্রফেসর আলবাস ডাম্বেলডোরের চরিত্রে দেখা গেছে।
২০০৩ সালে রিচার্ড হ্যারির মৃত্যুর পর হ্যারি পটার সিরিজের ‘ডাম্বেলডোর-হেডমাস্টার অব উইজারডিং স্কুল হোগওয়ার্টস’ ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন গ্যামবন।
খুলনা গেজেট/ এএজে