৬০-এর দশকের ছাত্রনেতা ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ সিরাজুল আলম খান নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে ছাত্রসমাজকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। তার ফলশ্রুতিতে এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন শোষনমুক্ত সমাজ, চেয়েছিলেন অংশীদারীত্বের গণতন্ত্র।
আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় বিএমএ মিলনায়তনে সিরাজুল আলম খানের স্মরণ সভায় বক্তারা একথা বলেন। সিরাজুল আলম খান স্মরণসভা কমিটি, খুলনা এর আয়োজক।
কমিটির আহবায়ক ও বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড, স ম বাবর আলী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দ মনোয়ার আলী, রাষ্ট্রচিন্তা নামক সংগঠনের সংগঠক মোশাররফ হোসেন মন্টু, ফখরুল আলম খান বাবুল, অধ্যাপক মেহজাবিন রহমান, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আফম মহসিন, সুজনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কুদরত-ই-খুদা, নগর নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক এ্যাড. ড. মোঃ জাকির হোসেন, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক স ম রেজাউল করিম, বাসদের জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশ জাসদের নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান, আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খোকন, কবি নাজমুল তারেক তুষার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রসনজিৎ দত্ত প্রমূখ।
স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন তামান্না আলম, স্মারক বক্তৃতা করেন বাসদ নেত্রী কোহিনুর আক্তার কনা। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন স্মরণ সভা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আব্দুস সবুর।
খুলনা গেজেট/এমএম