অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নায়করাজ রাজ্জাক। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় এক শূন্যতা তৈরি করে নিয়েছেন চিরবিদায়। চলচ্চিত্রে যাদের অবস্থান তৈরি হয়েছিল মেধা, মনন ও শ্রমে– নায়করাজ ছিলেন তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। দেখতে দেখতে কেটে গেল নায়করাজহীন ছয়টি বছর। ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে নায়করাজের পরিবার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্যরা নায়করাজের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন আজ।
নায়করাজের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট বলেন, ‘আব্বার মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে রাজধানীর উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের মসজিদে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সময় বাসায়ও হবে মিলাদ ও দোয়া। দুপুরে আসা মেহমান এবং গরিব এতিমদের আম্মা নিজ হাতে খাওয়াবেন। আব্বার জন্য দোয়াটাই বড়। সবার কাছে দোয়া চাই।’
এদিকে চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘তারকাকথন’-এ নায়করাজকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হবে। এমনটিই জানিয়েছেন অনুষ্ঠান প্রযোজক অনন্যা রুমা।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। গীতিকার ও সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী খোকা তাঁরই বন্ধু নায়ক রাজ্জাকের নামের আগে ‘নায়করাজ’ যুক্ত করেছিলেন।
দু-একটি সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম সিনেমা ‘বেহুলা’। সেই থেকে শুরু। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
খুলনা গেজেট/এনএম