ডিভোর্স না হওয়া সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। অবশ্য নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন বুধবার নাসির ও তামিমার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সে সঙ্গে আগামী ১০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখও ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক।
বাদীর আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘দণ্ডবিধির ৪৯৭, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় মামলাটির আবেদন করা হয়েছে। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।’
গত ২৪ জানুয়ারি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়। সেদিন তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিব উল্যাহ হিরু। বাদীপক্ষে ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি চার্জের বিষয়ে আদেশের জন্য রাখেন। এ দিন তারা আদালতে উপস্থিত হন। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন তারা।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেন রাকিব।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
শুনানি শেষে আদালত ক্রিকেটার নাসিরসহ তিন জনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করে। ওই দিন তারা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন পান।
খুলনা গেজেট/এনএম