রাজধানীর হাজারীবাগে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে হাজারীবাগ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
হাজারীবাগে শেরেবাংলা রোডের একটি ছয় তলা ভবনের দোতলায় ভাড়া থাকতেন তুলি। এ বাসার একটি ঘরে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায় তার মরদেহ।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জমান বলেন, ‘তার খালাতো ভাই ও ছোট ভাই পরিচয়ে দুজন থানায় খবর দেন। তাদের বোন যে রুমে আছেন সেই রুমের ভেতর থেকে সিটকিনি লাগানো এবং তিনি ফোন ধরছেন না বলে তারা জানান।
‘পুলিশের উপস্থিতিতে তার ভাই দরজা ভাঙেন। ভেতরে ঢুকে আমরা দেখতে পাই, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তিনি ঝুলছেন।’
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তের কাজ করছি। আলামত সংগ্রহে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসেছে। তথ্য ও আলামত যাচাইয়ের আগে মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা, তা যাচাই করা হচ্ছে।’
স্বজনরা জানান, সোহানা পারভীন তুলি এক দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় জড়িত। সবশেষ তিনি অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও কাজ করেছেন তিনি।
সোহানা বিবাহিত হলেও কয়েক বছর আগে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটে। ভাড়া বাসায় ছোট ভাইসহ অন্য আত্মীয়রা মাঝে মাঝে থাকলেও তিনি বেশিরভাগ সময় একাই থাকতেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ