৯ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে স্কুলছাত্র ইমন হোসেন (১৪) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার(২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন নাহিদ হাসান, আহম্মদ আলী, মো. সিরাজ ও সেন্টু মিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হোসনে আরা ও সালমা আক্তার। এ ছাড়া খালাস পেয়েছেন মন্টু, খোরশেদ, মামুন ও আয়শা। রায়ের সময় নাহিদ হাসান, সালমা, মামুন ও আয়শা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাসমিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্কুলছাত্র ইমনকে ৯ টুকরো করে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এর আগে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, ইমন হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায় বুঝতে না পেরে তিনি ভুল করেছিলেন বলে পরে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জানান।
২০১৩ সালের ২২ জুন নিখোঁজের ৯ দিন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি খেত থেকে ইমনের ৯ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইমন বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই