নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামের মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৬ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা মসজিদে থাকা বাকি মুসল্লিদের অপহরণ করেছে। সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান আলহাসান ইসা মাজাকুকা জানান, গত বৃহস্পতিবার নাইজার প্রদেশের মাশেগু এলাকার বা’আর গ্রামে কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলা চালানো হয়।
আলহাসান ইসা মাজাকুকা বলেন, কয়েক ডজন আততায়ী মোটরসাইকেলে করে এসে গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় আততায়ীরা মসজিদে নামাজিদের হত্যা করে এবং গ্রাম লুটপাট করে।
নাইজেরিয়ার পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে, পুলিশের দাবি—ওই ঘটনায় নয় জন নিহত হয়েছে। নাইজেরীয় পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলায় হতাহতের সংখ্যা কম করে দেখানোর অতীত অভিযোগ রয়েছে।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্যাঞ্চলে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পর নাইজার প্রদেশে এ হামলা সাম্প্রতিকতম ঘটনা। দেশটির এসব অঞ্চলে সশস্ত্র দলগুলো মুক্তিপণের জন্য প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের হত্যা ও অপহরণ করে আসছে।
এর আগে গত সপ্তাহে আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশটির অশান্ত উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ২৩ জনের বেশি ভ্রমণকারীকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
হামলাকারীদের একটি বড় অংশ ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর যুবকদের নিয়ে গঠিত। ঐতিহ্যগতভাবে একসময় এসব যুবক গবাদি পশুপালক হিসেবে কাজ করতেন। পানি ও চারণভূমি দখল নিয়ে হাউসা কৃষক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁদের কয়েক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।
এসব বন্দুকধারীরা ক্রমেই আরও সংগঠিত ও সশস্ত্র হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এখনও প্রকাশ্যে তারা কোনো রাজনৈতিক আদর্শ বা উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেনি। নাইজেরিয়ার একজন গভর্নর সম্প্রতি বলেছেন, এ ধরনের বেআইনি দলের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়েছে। এসব দলের নাম নেই বা পরিচিত কোনো নেতাও নেই। কিন্তু, সম্প্রতি নাইজেরিয়ার একটি আদালত তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে