নাইজেরিয়ায় পুলিশের এক বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনের ওপর বর্বর ও নিষ্ঠুর নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক বিক্ষোভে অন্তত ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে নিহতদের মধ্যে কিছু পুলিশ এবং সেনা সদস্যও রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বুহারির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিভাবে দেশের চলমান অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার অবসান করা যায় সে বিষয় নিয়ে নাইজেরিয়ার সাবেক নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে নিহতের সংখ্যা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বুহারি। এ বিক্ষোভের আয়োজন করা একটি গ্রুপ এখনো লোকজনকে বাড়িতে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। নারীবাদী জোটও লোকজনকে তাদের রাজ্যের কারফিউ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাগোসে কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হবে।
এদিকে, প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভ এখন নাইজেরিয়ার ছোট-বড় বিভিন্ন শহর ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও। প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, বার্লিন থেকে টরন্টো থেকে। বিশ্বের যেখানেই নাইজেরিয়ানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন সেখানেই তারা এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছেন। নাইজেরিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি পুলিশের বিশেষ বাহিনী ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে যেসব পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, বিচারের মাধ্যমে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও এই বিক্ষোভ থামেনি।
দেশটির বড় শহরগুলোয় দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বহুজন হতাহত হয়েছেন। (সূত্র : বিবিসি)
খুলনা গেজেট/এআইএন