নারীর হাতের ছোঁয়ায় কি না যায় পাড়া,
হাড়িপাতিল রান্নাবান্না খোঁপায় ফুল পড়া।
ইচ্ছে হলে কাঁচি চিরুনি নরসুন্দর সাজে,
চুলের ভাজে কাঁচি চালায় হাতের কারুকাজে।
ডানে ঘোরো বামে ঘোরো মাথা হেলান করো,
নইলে কাটবো ইচ্ছে মতো কানের লতি ধরে।
এবড়োখেবড়ো হলে পরে দোষ দিও না আবার,
প্রথম বার কাটছি বলেই ভুলতো হবেই সবার।
নরসুন্দর বেজায় ভালো আস্তে ধীরে ছাঁটে,
প্রবেশনারী বলেই হয়তো যত্ন করে কাটে।
সাত পুরুষের কেহই তাহার নরসুন্দর নহে,
তবুও ছাটে খুব যে ভালো ঠিক ওদেরই মতো।
নারীর নরম হাতের ছোঁয়া সবার ভাগ্যে নাই,
নরসুন্দর নারী হবে ভাবতেই অবাক হই।
চুল ছাটাতে টাকা চায়না বখশিশ দিলেই হয়,
করোনার ভয়েই এমন নারী নরসুন্দর চাই।
নিখুঁত রূপের নারী হলে বাইরে কেন যাই,
দিন না হলেও মাসে একবার এমন ক্ষুরী চাই।
কাঁচি আমার চিরুনি আমার খুরের দেখা নাই,
শেভিং রেজার দিয়েই সে খুরের কাজ চালায়।
বউটি আমার বেজায় ভালো হাসি মুখে কহে,
চুল ছেঁটে দেই তোমার আমি সুন্দর দেখবে হবে।
আমার মতো ভাগ্য হলে ক্ষৌরিক ঘরে পাবে,
নইলে যাবে নাপিত ঘরে করোনা বোনাস পাবে।
খুলনা গেজেট/এমএম