অবশেষে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবধান কমতে থাকে। ১১ রাউন্ডের শেষে ৩৩২৭ ভোটে এগিয়ে মমতা।
এর আগে নন্দীগ্রামে পিছিয়ে পড়ার যে প্রবণতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকাল ৮টায় গণনা শুরু হওয়ার সময় থেকে ছিল, সেটা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবধান তিন হাজারের কিছু বেশি ছিল ষষ্ঠ রাউন্ডের গণনা পর্যন্ত।
মমতা পিছিয়ে থাকায় একটি প্রশ্ন তীব্র হয়ে উঠেছিল, যদি শেষ পর্যন্ত মমতা হেরেই যান, তাহলে কী হবে?
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মমতা নিজে হেরে গেলেও যদি তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং মমতাকেই নতুন বিধায়করা নেত্রী নির্বাচিত করেন, সেক্ষেত্রে মমতার মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো আইনগত অসুবিধা নেই।
তবে ছয় মাসের মধ্যে তাকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। যদি ছয় মাসের মধ্যে তিনি বিধানসভার সদস্য না হতে পারেন, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বিধানসভার ভোটে মমতা নিজে লড়েননি। তখন তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী। তার দল জিতে তাকে নেত্রী নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে মমতা লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তখন জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। তিনি পদত্যাগ করলে সেই আসনে উপনির্বাচনে জিতে মমতা মুখ্যমন্ত্রী থেকে যান।
যদিও এবার শেষ পর্যন্ত মমতা জিতবেন বলেই ধারণা করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও তৃণমূলের নেতারা।
খুলনা গেজেট/ টি আই