চলছে বাংলা পৌষ মাস, এরই মধ্যে দেশের দুইটি জেলায় পমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে দেশের অন্য জেলাগুলোতে হালকা শীত থাকছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপকূলীয় এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও তা ছিল অল্প সময়ের জন্য। সেই সঙ্গে রোদ আর কুয়াশার লুকোচুরিও দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশের দুই-একটি জায়গা বাদে কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা কম। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা শীত থাকতে পারে।
তবে নতুন বছরের শুরুটা দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হতে পারে। জানুয়ারি মাসের বেশির ভাগ সময় দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীত বাড়তে পারে। দেশের বাকি এলাকার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা আছে। কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে দেশের উপকূলীয় এলাকার আকাশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, সাগর থেকে কিছুটা মেঘ দেশের ভেতরে প্রবেশ করছে। এ কারণে সামগ্রিকভাবে শীতল বাতাস কম আসতে পারছে। চলতি মাসের বাকিটা সময় দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু–একটি জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। তবে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ থেকে কুয়াশা পড়া শুরু করতে পারে। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুয়াশা বেড়ে গেলে সাধারণত বায়ুর মান খারাপ হতে থাকে। বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী বৈশ্বিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল বেশির ভাগ সময় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।
খুলনা গেজেট/এনএম