খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

নতুন ইসি গঠনের আগে আইন চায় জাপা

গেজেট ডেস্ক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকেলে আলোচনায় অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলটি বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হবে। তার আগেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।

আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

আলোচনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জি এম কাদের।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি। দলটি মনে করে, এখনও যে সময় রয়েছে, এর মধ্যেই ইসি গঠনে আইন করা সম্ভব।

সোমবার বঙ্গভবনে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন জাপা নেতারা। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা ধরে চলে সংলাপ।

সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক করেছি। আমরা তাকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছি। আমরা মনে করি, যে সময় আছে, এর মধ্যে আইন করা সম্ভব। প্রয়োজনে আইন তৈরিতে আমরা প্রস্তুত আছি। সরকার চাইলে আমরা আইনটিও তৈরি করে দিতে পারি।

তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে, এ সময়ের মধ্যে আইন করা সম্ভব নয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে সেটি করতে পারেন। পরে সেটি আইনে পরিণত করা যাবে। আর যদি অধ্যাদেশ জারি সম্ভব না হয়, তাহলে আগের মতো সার্চ কমিটি গঠন করে কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সার্চ কমিটির জন্য আমরা চারটি নাম প্রস্তাব করেছি। এর বাইরেও কমিশনের সদস্যের জন্য একটি নাম প্রস্তাব করেছি। এ মুহূর্তে নামগুলো জানাচ্ছি না।

জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমীন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সংলাপে অংশ নেন।

নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংলাপের পর রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!