নগরীর বাজারে পেঁয়াজের মূল্য প্রতিকেজি একলাফে গড়ে ১৯ টাকা করে বেড়েছে। এ সপ্তাহের প্রথমদিকে দেশী পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৩৭ টাকা। আজ তা যথাক্রমে ৮০ টাকা ও ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টি, পরিবহন সংকট এবং বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় হঠাৎ মূল্য বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
গত ৫ ডিসেম্বর কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজের মূল্য ৫৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ কেসিসি কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাণিজ্য ভান্ডারের কর্ণধর আব্দুল মালেক জানান, একসপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বড় মোকামে পুরানো পেঁয়াজের আমদানি কম। যা আছে তা বেশী দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে । তিনি বলেন পাইকারী বাজারে দেশী পুরানো পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৬২ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
একই বাজারের জাকারিয়া ভান্ডারের মালিক চান মিয়া জানান, প্রতিদিন এ বাজারে পাঁচশ’ বস্তা পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে ৮০ বস্তা আসছে। সরবরাহ সংকট থাকায় দাম বেড়েছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এখনও আসেনি। নতুন ফসল আমদানি হলে বাজার স্থিতিশীল হবে।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী মো: সেলিম জানিয়েছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে দেশী পেঁয়াজের চাহিদা বেশী।
রূপসা কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো: হেলাল হোসেন তথ্য দিয়েছেন, হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতারা এ পণ্য ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছে। অসময়ে বৃষ্টি, পরিবহন সংকট এবং স্থলবন্দর দিয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে।
এদিকে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন রূপসা, খালিশপুর, দৌলতপুর ও ফুলবাড়ি গেট এলাকায় ট্রাক যোগে বিক্রি করছে। প্রতিটি পয়েন্টে প্রতিদিন চারশ’কেজি করে বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই