নড়াইল পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক আল আমিন নিজ কার্যালয়ে এ মামলাটি করেছেন। লালু সরদার বর্তমানে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরকরফা গ্রামের নওশের সরদারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, লালু সরদার ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি নড়াইল পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। এরই মাঝে নড়াইল পৌরসভার মেয়রসহ লালু সরদার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্ত করে লালু সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। পরে তার কাছে সম্পদের বিবরনী চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। ওই নোটিশের জবাবে ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ লালু সরদার জবাব দেন। জবাবে তিনি জানান, তার ৫ লাখ দুই হাজার টাকার জমি ও বিভিন্ন ব্যাংকে ছয় লাখ ৮০ হাজার ৯০ টাকা রয়েছে। অর্থাৎ তার সর্বমোট ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯০ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে তার ৩৮ লাখ চার হাজার টাকার জমি ক্রয় ও বিভিন্ন ব্যাংকে নয় লাখ ৯০ টাকাসহ সর্বমোট ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ তিনি দুদকের কাছে ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, চাকরি ছাড়া লালু সরদারের উপার্জনের কোনো খাত নেই। তিনি চাকরিতে যোগদানের পর থেকে আয় করেছেন ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ১১৩ টাকা। খরচ করেছেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭। অবশিষ্ট টাকা থাকার কথা ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৬ টাকা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে তার সম্পদ রয়েছে ৪৭ লাখ চার হাজার ৯০ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ রয়েছে ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকা। সুতরাং ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকার সম্পদ গোপন ও ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়ায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে লালু সরদারের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম