যান চলাচলের অযোগ্য খুলনা মহানগরী জনদূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক যান চলাচলের অনুপযুক্ত হওয়ায় কষ্টে আছে জনগণ। শহরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সকল স্থান খাল-ডোবায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া নগরীর পাঁচ থানা এলাকায় সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় অসুস্থ-বৃদ্ধ মানুষকে ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক যাতায়াত করতে হচ্ছে। গত এক বছর কোন মেরামত কাজ না করা সড়ক উন্নয়ন কাজে সীমাহীন চুরি-দূর্নীতির কারণে সকল সড়কই হঠাৎ করেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সিটি কর্পোরেশন, কেডিএ ও সড়ক বিভাগ জনমানুষের দূর্ভোগ লাঘবে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় রাস্তা-ঘাট খানা খন্দক, খাল ডোবায় পরিণত হয়েছে। একদিকে মানুষের কষ্ট অন্যদিকে যানবাহনের ক্ষতি একই সাথে যাতায়াতে বিলম্ব হওয়ায় কর্মঘন্টা নষ্ট হলেও কোন সংস্থাই দায়িত্ব পালন না করায় খুলনা মহানগর বিএনপি তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন ট্যূরিজম খ্যাত খুলনায় বেড়াতে আসা মানুষের সড়কে বেহাল দশা দেখলে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন হতে পারে। নগরীর দ্বারপ্রান্ত জিরোপয়েন্ট দিয়ে গল্লামারী, রূপসা ব্রীজ হয়ে শিপইয়ার্ড সড়ক, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইপাস সড়ক, মুজগুন্নি বাইপাস সড়ক, মুজগুন্নি মহাসড়ক, কদমতলা-নিউজপ্রিন্ট সড়ক, হাউজিং তিনতলা থেকে পিপলস মোড় পর্যন্ত, শামসুর রহমান রোডসহ অলি-গলির সড়কে খানা-খন্দে ভরা। সড়ক দ্রুত মেরামত না করলে জনদর্ভোগ আরও বাড়বে। এছাড়া গত দেড় বছর কেডিএ এভিনিউয়ের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ড্রেন একসাথে খুড়ে রাখার কারণে বাণিজ্যিক এ এলাকায় ব্যবসায়ীরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জনশ্রুতি আছে সরকারি দলের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়ায় এই বিশাল কাজ দ্রুত শেষ করার ক্ষমতা না থাকায় দীর্ঘ সূত্রিতা এবং তা থেকে দীর্ঘ জনভোগান্তি। বর্ষাকালে এত বড় লম্বা ড্রেনের কাজ কতখানি মান সম্মত হয়েছে তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন আছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রুত তিনটি সংস্থাকে যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আপাতত যানচলাচলের ব্যবস্থা ও শীত মৌসুমে সকল রাস্তা মেরামতের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক। সড়ক উন্নয়নে দলীয় পছন্দের ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে যোগ্যতার বিচারে ঠিকাদার নিয়োগ, মানসম্মত কাজ তদারকিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ কমিটি করা হোক। একই সাথে সময়মত কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে সময় নির্ধারণে আরও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ভাষা সৈনিক এম নুরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এনএম