খালিশপুরে সংগঠিত হত্যাকান্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধান ও প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বিবৃৃতিতে বলেন, অপরাধীর বা হত্যাকারীর কোন দল থাকতে পারে না। তারা সমাজ ও মানবতার শত্রু। বর্তমান সরকার মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে চলেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এই হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘটন সহ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। সে যদি আওয়ামী লীগের সদস্যও হয় তাহলে তাকেও আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
নেতৃবৃৃন্দ আইন শৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, খালিশপুর থানার একজন এএসআই এর প্রকাশ্য মদদে মাদক ব্যবসা সংঘটিত হচ্ছে। ওই এএসআইয়ের প্রশ্রয়ে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরাই খালিশপুুরে মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর উস্কানিতে খালিশপুরে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুুনের এই রহস্য উদঘাটন করতে হবে। একই সাথে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পুুলিশের ব্যর্থতার দায়ভার কোন অবস্থাতেই সরকার বা আওয়ামী লীগ বহন করবে না।
অপরদিকে, পুলিশের ব্যর্থতার কারণে নগরীর মিস্ত্রীপাড়ায় গুলি ছুড়ে এলাকাবাসিকে আতংকিত করেছে একজন ঠিকাদার। যার সঠিক রহস্য উৎঘাটন অত্যন্ত জরুরী। গুলির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সে যতবড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন। কারোর মিথ্যাচারে যেন কোন নিরাপরাধ মানুষ যাতে না জড়িয়ে যায়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক, বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারী। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট / এমএম