নগরীতে যানবাহন চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। বিশেষ করে নগরীতে থ্রি হুইলার, মাহেন্দ্র, সিএনজি অপ্রতিরোধ্য ভাবে চলাচল করছে। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সামনে দিয়ে অস্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিকে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক বিভাগের ‘স্পিড গান’ এর ব্যবহার কার্যকর না থাকার কারণেই অস্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চালাচ্ছে চালকরা। পাশাপাশি বিআরটিএ কতৃপক্ষ যানবাহনে ‘স্পিড গভর্নর সিল’ সংযুক্ত না করার কারণেও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের।
জানা যায়, গত বছরের ফেব্রয়ারি মাসে নগরীতে সকল প্রকার যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘স্পিড গান’ ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করে কেএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর মধ্যে যানবাহনের গতিসীমা সর্বোচ্চ প্রতি ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কেএমপির ট্রাফিক বিভাগে ৪টি ‘স্পিড গান’ রয়েছে। তবে সর্বশেষ কবে এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তার বিষয়ে খোদ ট্রাফিক বিভাগই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না। তাদের দাবি, করোনার কারণে এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুত এগুলো আবারও কার্যকর করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদিকে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ যানবাহনে ‘স্পিড গভর্নর সিল’ সংযুক্ত না করার কারণেও গতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বলে তারা দাবি করেছেন।
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক(ইঞ্জিঃ) মো: আবুল বাসার জানান, পেট্রোল চালিত যানবাহনে ‘স্পিড গর্ভরন সিল’ সংযুক্ত করার কোন স্পেস নেই। তবে ডিজেলে চলা যানবাহনগুলোতে এগুলো সংযুক্ত করা হচ্ছে। বাসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্পিড প্রতি ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং ট্রাকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার করা হয়। থ্রি হুইলার ও সিএনজিতে এগুলোর স্পেস নেই। তারপরও আমরা সংযুক্ত করলেও সেটা ১ সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়।
কেএমপির ট্রাফিক বিভাগের ডিসি রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে স্পিড গানের ব্যবহার করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত এটি আবারও কার্যকর হবে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীরা যদি সচেতন হয় তাহলে চালকরা অপ্রতিরোধ্য ভাবে গাড়ি চালাতে পারবে না।
খুলনা গেজেট/নাফি