যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরে নোঙর করা দুটি লাইটার জাহাজ থেকে লুট করা ৮০ টন ডিএপি সার ও নগদ এক লাখ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। একইসাথে এ ঘটনায় জড়িত ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের ৫ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপম কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারের ভর্তুকি দেয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১৩শ’ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করে। মংলা বন্দরে সার খালাসের পর তা দুটি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে যশোর নওয়াপাড়া নৌ বন্দরে আনা হয়।
এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীররাতে বন্দরের নোঙ্গর করা লাইটার জাহাজ থেকে কর্মীদের সহায়তায় চোরেরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রূপম কুমার সরকার জানান, মামলা দায়েরের পর সার উদ্ধার ও জড়িতদের আটকে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার যশোরের নওয়াপাড়া, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ১২০ টন সারের মধ্যে ৮০ টন সার উদ্ধার করা হয়। এসময়ে জড়িত ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের আস্তানা থেকে এক লাখ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট এলাকার নবাব আলী গোলদারের ছেলে হুমায়ূন কবীর, তেঁতুলতলা মসজিদ এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অমল শিকদারের ছেলে অনিমেষ শিকদার, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের সুধান্ন সরকারের ছেলে ভুপাল সরকার, পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ সজীব, ঝাটকাটি গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে লিখন সরকার, কুমিরমারা গ্রামের মোবারক আলী শিকদারের ছেলে আক্কাস আলী শিকদার, যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের আবুল কালামের ছেলে পারভেজ আহমেদ রাজু।
এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ ঘটনাকে ডাকাতি বলে আখ্যায়িত করেছে।