নওগাঁর পোরশা উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারি সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে লিটন মিয়া (১৯) নামে আরেক বাংলাদেশি আহত হয়েছে। পরে বিএসএফ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) দিবাগত ভোর রাতের কোনো এক সময়ে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ভারত অংশের কেদারিপাড়ায় এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম আল আমীন। সে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নে চক বিষ্ণুপুর কলোনি মোড় এলাকার সিদ্দিকের ছেলে।
পরিবারের বরাত দিয়ে নিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, সোমবার বিকেলের দিকে আল আমীন বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর ভোর রাতের দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন জানান ভারতের অভ্যন্তরে আল আমীনকে গুলি করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আল আমীনের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিজিবি-১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, ভোরের দিকে ভারতে অভ্যন্তরে একটি ফায়ারিংয়ের শব্দ পায় বিজিবি। ঘটনাটি সীমান্ত এলাকার ২৩১/২৩২ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি স্থানে ভারতের কেদারিপাড়ার দিকে ঘটেছে। তবে মারা গেছে কিনা সে বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে বিষয়টি জানতে পতাকা বৈঠক আহ্বান করে বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে চিঠি ও ফোনে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠক শেষেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, গতকালকেও দুদেশের সম্প্রীতি রক্ষায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। পরদিনই এমন ঘটনা দুঃখজনক।
অপরদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফের) গুলিতে লিটন মিয়া (১৯) নামে বাংলাদেশি আহত হয়েছে। পরে বিএসএফ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার দুর্গাপুরের ৯২৩ নম্বর পিলারে এই ঘটনা ঘটে। আহত লিটন মিয়া আদিতমারি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, লিটনসহ চারজনের একটি দল গরু আনার জন্য দুর্গাপুর সীমান্তের সীমানা পিলার ৯২৩ অতিক্রম করে ভারতের ভিতরে প্রবেশ করে। অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে ভারতের ৭৫ বিএসএফ রারথার ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও লিটন মিয়ার পায়ে গুলি লেগে আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি সিও লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম