ঢাকার ধামরাই উপজেলায় সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। নিহত সাংবাদিকের নাম জুলহাস উদ্দিন (৩৭)। তিনি বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই প্রতিনিধি এবং ধামরাই প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি ধামরাইয়ের হাতকুড়া গ্রামে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলহাস সাত বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বছর দুয়েক আগে তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বারাহিরচর গ্রামের শাহীন হোসেনের স্ত্রী সোমা আক্তারকে বিয়ে করেন। সোমা তাঁর স্কুলজীবনের বান্ধবী।
ধামরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলহাস বৃহস্পতিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তিনি বাসে করে এসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এর পরপরই শাহীন ও তাঁর (শাহীন) বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় জনতা ধাওয়া করে শাহীন ও মোয়াজ্জেমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শাহীন ও মোয়াজ্জেম একই বাসে বারবাড়িয়া আসেন। তাঁদের মতে, পরিকল্পিতভাবেই জুলহাসকে হত্যা করা হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনার পর প্রথম জুলহাসকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, শাহীন স্ত্রীকে বিয়ে করার ক্ষোভ থেকেই জুলহাসকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নির্মম এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান। তাঁরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।