চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গেল সপ্তাহের তুলনায় গত বুধবার হাটে ধানের দাম মণ প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম ছিল। এতে কিছুটা অখুশি কৃষক। তবে বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার বিচলী বিক্রি করতে পারায় খুশি তাঁরা। গত বুধবার জীবননগরে সপ্তাহিক ধানের হাট ঘুরে দেখা যায়, হাইব্রিড ধান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। আর ৪৯ নামের একটি চিকন ধান বিক্রি হচ্ছিল তের শ’ থেকে সাড়ে তের শ’ টাকায়।
জীবননগর বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা বাঁকা গ্রামের শুকুর আলী বলেন, গত হাটে প্রদীপ ধান এক হাজার ২৪০ টাকা করে বিক্রি করেছিলাম। বুধবার হাটে একই জমির ধান ৪০ টাকা কম দামে বিক্রি করতে হলো।
একই গ্রামের আক্কাস আলী বলেন, গত হাটে ৪৯ ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা করে মণ বিক্রি হচ্ছিল। আজ মণে ৭০ টাকা করে কম বলছে। এ জন্য ধান বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছি। দাম বাড়লে পরে হাটে নিয়ে যাব। আব্দুল রাজ্জাক বলেন, তিনি এবার ২৫ কাঠা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলেন। স্থানীয় একজন শ্রমিক বিচলীর বিনিময়ে ধান কাটার পর মাড়াই করে তাঁর ঘরে তুলে দেবেন। ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বুধবার হাটে ধানের দাম মণ প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে।
বিচলী ব্যবসায়ি ও কৃষকেরা জানান, এক বিঘা জমির বিচলী এখন ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে বিচলীর দাম আরও বেশি ছিল। গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এর চাহিদা খুব বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এ বছর জীবননগর উপজেলায় ৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ২০ শতাংশ ধান মাঠে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাজার মোটা ধান এক হাজার ২০০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর চিকন ধান ১ হাজার ৩০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।