সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়েছে। ই জিন ক্যারল নামের এক লেখিকাকে প্রায় তিন দশক আগে ধর্ষণের অভিযোগে গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এই বিচার শুরু হয় নিউ ইয়র্কের আদালতে। এ বিচার এক থেকে দুই সপ্তাহ চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতার দৌড়ে সামনের সারিতে থাকা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই শুরু হলো এ বিচার। এটি কোনো ফৌজদারি মামলা না হলেও ট্রাম্পের যৌন অসদাচরণ নিয়ে সাক্ষীদের বয়ান তার জন্য রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিকর পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
যদিও ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। আমেরিকার বিশিষ্ট নারী প্রাবন্ধিক ই জিন ক্যারলকে ধর্ষণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর তাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে উপহাসও করেছিলেন ট্রাম্প।
সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় এমনটাই অভিযোগ উঠল মার্কিন আদালতে। যদিও ট্রাম্পের একজন আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ক্যারল অর্থ ও খ্যাতি পাবেন বলেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন।
৭৯ বছর বয়সি ক্যারলের দাবি, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাকে যৌন নির্যাতন করেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ট্রাম্প নারীদের অন্তর্বাস উপহার দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ চাওয়ার নাম করে একটি পোশাক পরিবর্তন করার কক্ষে (ট্রায়াল রুমে) ক্যারলকে ডেকে নিয়ে যান এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন।
ক্যারলের আইনজীবী শন ক্রাউলি ম্যানহাটন আদালতকে বলেছেন, ‘ট্রায়াল রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ক্যারলের সঙ্গে জোরজবরদস্তি শুরু করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের গায়ের জোরের কাছে পেরে ওঠেননি ক্যারল।’
২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন ক্যারল। ক্যারল নিজেও মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
খুলনা গেজেট/ এসজেড