সিরিজ জয় দিয়ে বছর শেষ করার লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। ১৪.৫ ওভারে ৮১ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল সৌম্য সরকারকে দিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারে টিম সাউদির বলে কাভারে চার দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন। চতুর্থ বলেই তিনি খেই হারান। কিউই পেসারের বল বাঁক ভেতরে ঢুকতেই লেগ বিফোরের আবেদন, আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে কাঁটা পড়ে টাইগারদের প্রথম উইকেট।
ওয়ানডাউনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তও শুরু করেছিলেন চার মেরে। অ্যাডাম মিলনের ওভারে তিনি পরপর দুটি চারের বাউন্ডারি খেলায় কিছুটা লড়াইয়ের জোশ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ওভারেই তরুণ পেসার বেন সিয়ার্স তাদের লাগাম টানেন। তাতে ওপেনার রনি তালুকদারেরও অবদান ছিল, তিনি টানা ডট বল খেলায় টাইগারদের চাপ বাড়ে। চাপ কমাতে অতি-আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শান্ত। মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ১৫ বলে তিনি ১৭ রান করেন।
পরের ওভারে সিয়ার্সের বলে আউট রনিও। কিউই পেসারের ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিুউ হয়ে যান। তার বিদায় মাত্র ১০ রানে (১০ বল)। পেসারদের পর ঝলক শুরু কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের। আফিফ হোসেন ও তাওহীদ হৃদয়রা তার বলে সুবিধা করতে পারছিলেন না। পরে ইশ সোধি আক্রমণে যোগ দিয়ে তাদের আরও ভড়কে দেন।
এরপর নিয়মিতে বিরতিতে আউট হয়ে ফিরেছেন আফিফ (১৩ বলে ১৪), হৃদয় (১৮ বলে ১৬), শেখ মেহেদী (১৩ বলে ৪) এবং শামীম হোসেন পাটওয়ারী (১৪ বলে ৯ রান)।
সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে স্পিনার তানভীর ইসলামকে। ইনজুরির কারণে আজও দলে নেই লিটন দাস নেই। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বাংলাদেশ একাদশ : রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম।
নিউজিল্যান্ড একাদশ : মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), টিম সাইফার্ট, ফিন অ্যালেন, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জিমি নিশাম, বেন সিয়ার্স, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।