বন্দর ও শিল্পনগরী খুলনায় দুর্মূল্যের বাজারে টিসিবির পর্যাপ্ত পণ্য বিক্রির দাবি জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, খুলনা শহরে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের কর্মস্থল। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লাখো লাখো মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছে। করোনাকালীন গত ৮ মাসে মানবেতর জীবনযাপনকারী শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে থাকছে। তাদের এই বেঁচে থাকা সংগ্রামে সরকারের সহযোগিতা নামমাত্র ও প্রস্তাব সর্বস্ব।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোথাও নেই রেশন কার্ডে চাল, নেই সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম, শহর কেন্দ্রীক টিসিবির কিছু পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চললেও তা সীমিত আকারে অপর্যাপ্ত ও অপ্রতুল। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বন্দর ও শিল্পনগরী খুলনার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য অবিলম্বে ১০ টাকার চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু, অসহায় ছিন্নমুল মানুষের জন্য ত্রান কার্যক্রম চালু, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্দ্ধগতিরোধে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা, পাইকারী ও খুচরা সবজি বাজারে মূল্যের অধিক তারতম্যের জন্য বাজার মনিটরিং এবং টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আরও ব্যাপক পরিমান ও পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো এবং শহরে অন্তত ২৫ স্থানে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম