দ্বিতীয় ধাপে অন্তত ৬০টি পৌরসভায় মধ্য জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। রোববার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের সভা হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ইভিএমে ২৮ ডিসেম্বর ভোটের তফসিল দেওয়া হয়েছে। তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে আরও প্রায় ১৭০ পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। রোববারের কমিশন সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব আলমগীর বলেন, “আর তিনটি ধাপে ১৬৯ পৌরসভায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট মধ্য জানুয়ারি, তৃতীয়ধাপের ভোট জানুয়ারির শেষের দিকে। আর চতুর্থ ধাপের ভোট হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে।” এ লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভাগুলোর ভোটের তফসিল চলতি সপ্তাহে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি। সক্ষমতা, প্রাপ্তি, প্রশিক্ষিত লোকবল ও কারিগরি বিষয় বিবেচনায় সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সচিব।
“প্রত্যেকটি ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ৩০টির মতো পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালটে ভোট হবে।” এসব পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
তফসিলের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, “দ্বিতীয় ধাপের তফসিল খুব তাড়াতাড়ি হবে। কর্মপরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করলেই তফসিল দেওয়া হবে।” বাকি পৌরসভাগুলোয় প্রতিটি ধাপে অন্তত ৬০টির তফসিল দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এক সপ্তাহ আগে গত রোববার ২২ নভেম্বর প্রথমধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল দেওয়া হয়। দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি।
আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম