দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে ভোট দেন তারা। এ সময় মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং একাধারে সুপ্রিম কমান্ডার অব দ্য আর্মি হিসেবে এই মুহূর্তে বঙ্গভবন ত্যাগ করা সমীচীন হবে না বলে মনে করছি। ভোট দেয়া নাগরিক কর্তব্য। সংবিধান ও নির্বাচন কমিশন আইন পর্যালোচনা করে দেখেছি, ভোটাধিকার অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমি পাবনা-৫ আসনের একজন ভোটার। সেখানে ভোটের দিন গেলে আমার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। সাধারণ ভোটারদের বিঘ্নিত করা উচিত হবে না মনে হয়েছে। তাই বিধি অনুযায়ী ভোট প্রয়োগ করেছি।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের দেয়া ভোট পোস্টালে চলে যাবে রিটার্নিং অফিসে। পাবনার জেলা প্রশাসকই সেখানকার রিটার্নিং অফিসার। এই ভোট ৭ তারিখে পৌঁছানো দরকার। তাই তিন দিন আগে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি।
ভোট প্রদান শেষে ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচিতে জানানো হয়, ৩ জানুয়ারি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদান অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ- এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই বিধান চালু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম