দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী পুরাতন লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক দিঘলিয়া উপজেলাধীন দেয়াড়া দৌলতপুর খেয়াঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির সদস্য খুলনা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র ও দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টা থেকে জরুরী ভিত্তিতে সরজমিনে খেয়াঘাটের উভয় প্রান্ত, পুরাতন লঞ্চঘাট, বাজারের ভিতর দিয়ে পারাপার যাত্রীদের চলাচলের রাস্তাগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর বাজার উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং দেয়াড়া দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী লঞ্চঘাটে স্থানান্তর আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। খেয়াঘাট এবং লঞ্চঘাট পরিদর্শন শেষে কমিটির সদস্যরা দৌলতপুর তফসিল অফিসে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে ঘাট স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
কমিটির প্রধান খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা খান খুলনা গেজেটকে বলেন, আমরা খেয়াঘাট, পুরনো লঞ্চঘাট, বাজারের ভেতরের রাস্তা সরজজমিনে পরিদর্শন করে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং ঘাট স্থানান্তরের দাবির সাথে যারা সম্পৃক্ত নেতৃবৃন্দ উভয়ের বক্তব্য শুনেছি। খুব দ্রুতই আমরা এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করবো।
প্রসঙ্গত, খুলনা জেলার তৃতীয় বৃহত্তম খেয়া পারাপারের ঘাট দেয়াড়া দৌলতপুর খেয়াঘাট। প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে নড়াইল, কালিয়া, বড়দিয়া, গাজীরহাট, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এবং মালামাল পারাপার হয়। দৌলতপুর খেয়াঘাট পার হয়ে বাজারের কাপড়ের পট্টির সরুগুলি দিয়ে অসহায় পঙ্গু, বিকলাঙ্গ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, কলেজের ছাত্রী, বৃদ্ধ, নারী পুরুষ মহিলা সহ সাধারণ মানুষ ঘেঁষাঘেঁষি করে করে প্রতিনিয়ত যাওয়া-আসা করতে হয় ।
দীঘল দ্বীপ দিঘলিয়ার লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের। এ গণদাবির পক্ষে ভুক্তভোগী জনগণের ব্যানারে দিঘলিয়া উপজেলার সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে গত জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু হয়। গণদাবির পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দীঘল দ্বীপের হাজার হাজার ভুক্তভোগী এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত হয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত ৩০ জুলাই দৌলতপুর খেয়াঘাট পার্শ্ববর্তী লঞ্চঘাটে স্থানান্তর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশিদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) ‘র নিকট স্মারকলিপি এবং গণস্বাক্ষরের অনুলিপি প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/এইচ