স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ যুবক মাদকসেবনে জড়িত, তার ৫০ শতাংশ অপরাধে জড়িত। দেশে ৮০ লাখের বেশি মাদকসেবী। ২৪ ধরনের মাদক আসে। সবই আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপরাধী তো অপরাধীই। সে রাজনীতিবিদ হোক বা সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তি।’ তাই মাদক কারবার বন্ধে এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেশে মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদকের কারবার বন্ধে যেকোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব।
‘মিয়ানমারের সঙ্গে ২৮৩ কিলোমিটার দুর্গম সীমান্ত রয়েছে। সে জন্য বিজিবির আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থল ও নদীপথে সক্ষমতা দিয়ে বিজিবি দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করছে’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার রিজিয়নের ব্যাটালিয়নদের গত এক বছরে জব্দ করা ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ৭৫২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ৬ হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার ১৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট এবং ৭ বোতল অ্যামোনিয়াম সালফার ধ্বংস করা হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটক ১ হাজার ৯৭৯ জন আসামিসহ ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৩০ পিস ইয়াবা, ২৭ কেজি ৪৪৮ গ্রাম আইস, ১ হাজার ৩০৫ ক্যান বিয়ার, ৯৮ বোতল মদ, ১৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ৫৮৬ লিটার বাংলা মদ, ২২ কেজি ৯৯৫ গ্রাম গাঁজা এবং ৩ হাজার ১৫০ কেজি আফিম মামলার মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ৫১০ কোটি ৯০ লাখ ১৩ হাজার ৫৭২ টাকা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার নাজম-উস-সাকিব, কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজোয়ান হায়াত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার র্যাব- ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকারসহ আরও অনেকে।