খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়ল ‘ভেনাস ট্রাইয়াম্প’

গেজেট ডেস্ক

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর কক্সবাজারের মহেশখালীতে পরীক্ষামূলকভাবে আজ মঙ্গলবার প্রথম জাহাজ ‘ভেনাস ট্রাইয়াম্প’ ভিড়েছে। এদিন সকাল ৯টায় বন্দরের চ্যানেলে প্রবেশ করে জাহাজটি এবং সাড়ে ১০টায় বন্দরের জেটিতে নোঙর করে। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার ‘পেলাভুবন সিলেগন’ বন্দর থেকে স্ট্রিম জেনারেটরের যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

জাহাজটি চালিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিতে নেওয়ার কাজটি করেন বন্দরের পাইলটরা। সি-শোর মেরিন প্রাইভেট লিমিটেডের জাহাজটির দেশি এজেন্ট হচ্ছে অ্যানসিয়েন্ট স্টিমশিপ লিমিটেড এবং স্টিবেটর হিসেবে কাজ করছে গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।

জাহাজটি আসার আগে প্রস্তুত করা হয় আড়াইশ মিটার প্রস্থ ও ১৮ মিটার গভীরতার ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেল দিয়েই জাহাজ বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন বিভাগ গভীর সাগর থেকে জেটিতে প্রবেশের পথে ছয়টি পথনির্দেশক বয়া স্থাপন করেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে উন্নত চ্যানেলের মাধ্যমে মাতারবাড়ী জেটিতে সরাসরি প্রথম মালবাহী মাদার ভেসেল নোঙর করা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বিশেষ মাইলফলক’। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এবং জুলাইতে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। আর গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হবে ২০২৫ সালে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. আতাউল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘ভবিষ্যতে যখন আমরা টার্মিনালটা প্রস্তুত করব, তখন আমরা বড় আকারের জাহাজ নিয়ে আসতে পারব। বর্তমানে আড়াইশ মিটার প্রশস্ত রয়েছে। এটি সাড়ে তিনশ মিটার করা হবে।’

গত রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ সরঞ্জামসহ জাহাজটি মঙ্গলবার পৌঁছাবে বলে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১২০০ মেগাওয়াট মাতারবাড়ী সুপার-ক্রিটিকেল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!