জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই অপতৎপরতা এখনো চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে আগামীতে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ সময় কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগের ভালো কাজ দেখে না বলেও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেন্দ্রীয় আয়োজন হলো অনলাইনেই। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনার মূল কার্যক্রম শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে যোগ দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। একযোগে দলীয় সঙ্গীত জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে ছাত্রলীগের। তিনি জানান, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করাই ছিল জিয়াউর রহমানের লক্ষ্য। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আবার উন্নতি করতে পারে, এটা তারা কখনো মানতে চায়নি। বরং বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। সেই চক্রান্ত এখনও চলছে।
মহামারিতে মানুষের সাহায্যে অগ্রগামী হয়ে থাকা ছাত্রলীগের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম সংগঠনটির ভালো কাজ দেখে না।
সরকার প্রধান বলেন, তোমরা যে কাজগুলো করে গেছো, তার জন্য সব সময় আমরা সাধুবাদ জানাই। হয়তো ক্ষেত্র বিশেষে কোথায়ও কোথায়ও দুই একটা ঘটনা ঘটে। আমাদের কিছু পত্রপত্রিকা আছে, যত ভালো করে তা লেখার যোগ্যতা তাদের নেই। যদি কোন খুঁত পায়, তাহলে সেটাকে বড় করে লিখতে পারে, এটা তাদের একটা দৈন্যতা। কাজেই সেগুলো আমি হিসেবে ধরি না।
জাতির পিতার আদর্শ ও দেশপ্রেম নিয়ে আগামীর নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জনে ছাত্রলীগকে মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।
খুলনা গেজেট/এনএম