করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে এখন দুই কোটি ৭৬ লাখেরও অধিক মানুষ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে গত একদিনেই সারাদেশে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৫৬ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৭ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯১৮ জনকে ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬২ জনকে। এছাড়াও এই সময়ে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৮৯ জনকে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ১৩ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৪৮ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।