সেনাবাহিনীর প্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে সেটাকে আমরা প্রতিহত করবো। বর্ডার ভায়োলেন্স হচ্ছে। তার জন্য বর্ডারগার্ড, কোস্ট গার্ড আছে। তারা বিষয়টা তদারকি করছে। আমরা সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছি। এরচেয়ে লেভেল অন্যদিকে গেলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ও মায়ানমার বর্ডার উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনা প্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ সাল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রতিফলন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রদত্ত দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেই কাজে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছ বলে জানান সেনা প্রধান।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় প্রণীত হয় ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো।
এর আগে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটের সব সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বীর শহিদদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল সেনানিবাস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমসহ অনুষ্ঠানে সেনাসদরের জ্যৈষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাগণসহ জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া, সেনাসদর ও সাভার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যবৃন্দ, অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে