সারা দেশে বন্যায় ১৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং বিভিন্ন রোগে এদের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর পাশাপাশি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৫ জন।
এই পাঁচ সপ্তাহে যে ৭০ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। আর জেলাওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জে।
যত মানুষ মারা গেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বজ্রপাতে মারা গেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ৩ হাজার ৪০৩ জন আক্রান্ত থাকলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা বেড়ে ৪ হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টায় রোগী বেড়েছে ৬৪৫ জন।
বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। এই রোগেও কারও মৃত্যুর খবর নেই।
বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ ও সিলেট বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৩ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন করে। কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে তিনজন করে ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ