জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্র সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে হেলসিঙ্কি হয়ে শুক্রবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হেলসিঙ্কি হয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। তার আগে ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে যাত্রা করে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ইহসানুল করিম জানান, ১ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি হেলসিঙ্কি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। হেলসিঙ্কিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর হেলসিঙ্কি সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছান।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৬তম ইউনাইটেড ন্যাশনস জেনারেল এসেমব্লি (ইউএনজিএ) ও কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় অংশ নেন।
২৫ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কে তার সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারাগাছ রোপণ এবং একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করেন।