দেশে আরও ১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জনের কেউই সম্প্রতি ভারতে যাননি। অর্থাৎ তারা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশে ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত মোট ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জনই সম্প্রতি ভারতে যাননি। স্থানীয়ভাবে এই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন আজ শনিবার সকালে বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে যাননি, এমন সাত জনের শরীরেও করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। সুতরাং এটি নিশ্চিত যে, স্থানীয়দের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে শুরু করেছে।’
এ সংক্রান্ত তথ্য গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) শেয়ার করেছে আইইডিসিআর।
যে ১৩ জন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সাত জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন ওই জেলাটিতে সোমবার পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে।
গত ৮ মে ভারত থেকে আসা দুই জনের শরীরে প্রথম করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, বি.১.৬১৭ নামের এই ভ্যারিয়েন্টটি গত বছর প্রথম ভারতে শনাক্ত হয়। ইতোমধ্যে ৫০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষিত করোনার এই ধরণটি।
এটি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষিত করোনার চতুর্থ ধরণ। এর আগের তিনটিও বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— করোনার যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের ধরন।
খুলনা গেজেট/এনএম