খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

দেশে করোনায় মৃত্যুর ৮০ শতাংশই পঞ্চাশ উর্ধ্ব

বিশেষ প্রতিনিধি

শীতের শুরুতেই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বয়স্কদের প্রাণহানির চিত্রটিও চোখে পড়ার মতো। এজন্য মূলত: তাদের অসতর্কতা ও বাইরে ঘোরাঘুরিকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৭৫ জনে। এর মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ জন ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬০ বছরের ওপরে ১৯ জন রয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। এরপর একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ২ জুলাই, ৪ হাজার ১৯ জন। আর একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ৩০ জুন, ৬৪ জন। এরপর কয়েক মাসে ধীরে ধীরে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই কমতে থাকে। প্রকৃতিতে শীতের ভাব শুরু হওয়ার পর অক্টোবরের শেষ দিকে ফের বাড়ছে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা। একই সাথে বাড়ছে মৃত্যুও।

সরকারি হিসেবে গত ১৮ মার্চ থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত ৬ হাজার ৬৭৫ জনের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই মারা গেছেন ৫১ বছর উপরে যাদের বয়স। এর মধ্যে ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ যাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে। আর ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ যাদের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, সংক্রমণের শুরুতে বয়স্করা একটু সাবধান ছিলেন। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর তারা আগের মতো আর নিয়ম মানছেন না। “লকডাউনের সময় বয়স্করা বলতে গেলে বাসার বাইরে বের হতেন না। মে মাসে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর তারা এখন বাইরে আসছেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন, তাদের মাধ্যমে বয়স্করা সংক্রমিত হচ্ছেন।” ডা. বেনজীর বলেন, শীতের সময় বয়স্কদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

“শীতকালে হাঁপানি, ব্রংকাইটিসসহ শ্বাসনালীর নানা ধরনের সমস্যা হয়। সঙ্গে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয় তাহলে বয়স্কদের অক্সিজেনের লেভেল আরও কমে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে আইসিইউর যে চাপ রয়েছে তাতে সঠিক চিকিৎসা ব্যাহত হয়। যে কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায়।”

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!