ইন্টারনেটে ধীর গতি, মাঝে মধ্যে বন্ধ থাকা, বাফারিংসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের ইন্টারনেট সেবা। গত তিন মাস ধরে গ্রাহকদের এ ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
ডিজিটাল দেশ গড়ার জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু, এর অন্যতম অনুষঙ্গ ইন্টারনেট সেবা এখনও নানা সমস্যায় জর্জরিত। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মিলছে না প্রত্যাশিত সেবা।
ভুক্তভোগীরা জানান, ইন্টারনেট নেটওর্য়াক বিভিন্ন সিম ভিত্তিক হচ্ছে। প্রত্যেক সিমে ঠিকমতো কানেকশন পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ কাজ করলেই দেখা যায় বাফারিং সমস্যা।এমনকি ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরাও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পারছেন না। চালাতে গেলে ঠিকভাবে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, আবার অনেক সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বাণিজ্যিক সেবাদাতাদের।
বাণিজ্যিক সেবাদাতারা জানান, কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। আরও জানান, গত তিন মাস ধরে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছেন না তারা। এছাড়া ক্যাশ সার্ভার প্রতিস্থাপন করায় সংকট আরো বেড়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের সাবমেরিন ক্যাবলের উন্নয়নমূলক কাজ চলমান ছিল। এজন্য ৩ মাসে চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেয়া সম্ভব হয়নি। আমাদের দুই হাজারের মতো আইএসপি আছে, যারা লাইসেন্স করা আইএসপি, আবার তার প্রায় সমপরিমাণ লাইসেন্সবিহীন আইএসপিও আছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করতে না পারলে সংকট আরো বাড়বে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘এক সেবার সঙ্গে আরেক সেবার যে সংশ্লিষ্টতা, সেই জায়গায় একটা দূরত্ব রয়ে গেছে। আমরা কাগজে কলমে কাজগুলো ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করছি। যে কারণে ডিজিটাল সেবার যে প্রকৃত সুফল তা এখনও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।’
তবে, দেশের ইন্টারনেট সেবার মান বাড়াতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে আগামী মার্চ মাসে তরঙ্গ নিলাম করা হবে। একই সাথে সেবা নিশ্চিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে বলেও জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।