অবশেষে সোমবার (৩১ মে) রাত ১১টার পরে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ করোনা টিকার চালান দেশে পৌঁছেছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইকে-৫৮৪ ফ্লাইট যোগে এ চালান এসে পৌঁছায়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর ও ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে টিকার চালান বুঝে নিয়েছেন।
মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির হিমাগারে এসব টিকা রাখা হবে বলে জানান ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
উল্লেখ্য, বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছিল।
চুক্তি অনুযায়ী সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাওয়ার কথা ছিল। এরপর জানুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত ৩ কোটি ডোজ টিকা সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি।
কিন্তু ভারত থেকে দুই দফায় মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ। এরপর ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হলে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে অপারগতা জানায় সেরাম। তখন বাংলাদেশ টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনার পরিকল্পনা শুরু করে। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে জোর আলোচনা করে। পাশাপাশি জাতিসংঘের কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পেতেও চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ।
আলোচনার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপহার হিসেবে ১২ মে ৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠায় চীন। এরপর বাণিজ্যিকভাবে চীনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টিকার কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। চলতি মাসে (জুন, ২০২১) সেটার ৫০ লাখ ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা কিনবে সরকার। আর কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা ১ লাখ ডোজ পেছাতে পেছাতে সোমবার এলো (১ লাখ ৬২০ ডোজ)।
খুলনা গেজেট/কেএম