দেশে আরও ১০ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ জনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো। আক্রান্তদের সবাই ঢাকা শহরের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সেই জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা জমা দিয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার মধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে, ওয়েবসাইটটিতে করোনার ওমিক্রন আক্রান্তদের বিদেশ ভ্রমণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর দেশে তিন জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর জানায় জিআইএসএআইডি। এরও আগে ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একজন এবং রাতে তিনজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। আগের দিন ২৭ ডিসেম্বর রাতে আরও একজনের নমুনায় করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় জিআইএসএআইডি।
দেশে সর্ব প্রথম গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথম দুজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তারা জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশি দুই নারী ক্রিকেটার ছিলেন। তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আগামী মার্চ-এপ্রিলেই দেশে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ কারণে, আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
এরপর গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর দেশব্যাপী ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে। এতে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদারসহ সব ধরনের জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।