খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম বিমানবন্দরে আটক; স্ত্রী সহ কানাডার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি
  ব্যক্তিগত আয়কর দেয়ার সময় বাড়লো ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি : এনবিআর

দেশীয় সমুদ্রসীমা থেকে আটক ৬১ জেলেকে ভারতে পুশব্যক

মোংলা প্রতিনিধি

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে বঙ্গোপসাগরে এসে মাছ শিকারের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে আটক হয় ভারতের ৬১ জন জেলেকে পুনরায় ভারতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড মাছ ধরার জাল ও ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ তাদের আটক করে। সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের দায়ে সে সময় তাদেরকে মোংলা থানায় মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। এসব জেলেদের বেশিরভাগ বাড়ী ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

এদিকে আটক হওয়া এসব জেলেদের আজ মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিন মাস ১০ দিন হাজতবাসের পর তাদের মুক্তি দেয় বাগেরহাট নিম্ন আদালতের বিচারিক হাকীম। মুক্তি পাওয়া এসব জেলেদের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার খুলনার প্রতিনিধির মাধ্যমে এদিন বিকেলে তাদের পুনরায় ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় মোংলা উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার রাজ বংশী জানায়, ভারতীয় জেলেরা বিভিন্ন সময় সীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সিমানায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এসময় বঙ্গোপসাগরে টহলরত নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা তাদের অভিযান চালিয়ে আটক করে। এদের দেশীয় সমুদ্রসিমা লঙ্গন করার অপরাধে মামলা দায়ের শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। প্রায় ৩ মাস হাজত বাসের পর আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়ে ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ও থানা অফিসার ইনচার্জসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে থানার জিম্মে থাকা মালামালসহ তাদের নিজ দেশে ভারতে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা থানার এস আই বিশ্বজিৎ মূখার্জী বলেন, আটক হওয়া ওইসব জেলেদের সাথে জব্দ হওয়া শঙ্খদ্বীপ, স্বর্ণতারা, মা-মঙ্গলচন্দী ও মা শিবানী নামে পাঁচটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার এবং এ ট্রলারে থাকা মাছ ছাড়া অন্য সকল মালামাল তাদের বুঝিয়ে দিয়ে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা কর্তৃপক্ষ।

মুক্তি পাওয়া ৬১ জন ভিনদেশি এসব জেলেদের নামে আটক হওয়ার সময় তিনটি মামলা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বিশ্বজিৎ মুখার্জী।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!