সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটিতে ঘের দখলের লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক সার্জেন্টসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি মাসুদ (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাসুদ আলিপুরের আকবর সরদারের ছেলে।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, আসামি মাসুদ আলিপুরে অবস্থান করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রশীদের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালিয়ে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুদ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার ৩নং মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তাকে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট হায়দার আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত হয়ে দেবহাটার বহেরা মৌজার ২ একর ৬৬ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল নামের এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় হায়দার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। এই মামলায় সম্প্রতি হাইকোর্টও মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। তারপরও মোস্তাফিজুর রহমান বকুল জমি দখলের জন্য তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
গত ৮ জানুয়ারি সাবেক সেনা সদস্য হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার, তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল, তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন এবং শিশু শাফিন মোস্তাকিমসহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটির জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, আব্দুর রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুলসহ ৭-৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার ও টুটুল, তার স্ত্রী সোনিয়া এবং শিশু শাফিন গুরুতর জখম হন। তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম