বাসা বদল একবার যিনি করেছেন, তিনি চান না, এমন ঘটনা তাঁর জীবনে আবার ঘটুক। বাসা বদলানোর ঝক্কির বিষয়টি কমবেশি সবাই অবগত। আলমারি থেকে আলপিন—সব ঠিকঠাকমতো ঠিকানা বদল সহজ কথা নয়। গুছিয়ে স্বস্তির সঙ্গে বাসা বদলের ক্ষেত্রে এই লেখাটি হতে পারে সহায়ক।
এক সহকর্মীর সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল। সম্প্রতি তিনি বাসা বদলেছেন। তাঁর কাছে টিপস চাইতেই বললেন, ‘অন্যরা কী করে? আলমারি আর ওয়ার্ডরোব থেকে সব বের করে কার্টনে ভরে। তারপর নতুন বাসায় গিয়ে কার্টন খুলে আবার সবকিছু জায়গামতো রাখে। এর ভেতর কিছু কার্টন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আবার সব কার্টন ঠিকঠাক থাকলেও, কিছু জিনিস খুঁজেই পাওয়া যায় না। আমি এসব কিছুই করিনি। সবকিছু তালাবদ্ধ করে প্রতিটি ড্রয়ার, দরজা স্কচ টেপ দিয়ে আটকেছি। তৃতীয় পর্যায়ের সাবধানতা হিসেবে দড়ি দিয়ে বেঁধেছি। তারপর বাসা বদলে দড়ি আর স্কচটেপ খুলে দিয়েছি।’ এই বুদ্ধি আপনি কতটা কাজে লাগাবেন, সেটা আপনার ব্যাপার।
তবে বাসা বদলানোর সময় সবকিছু্ই এক বাসা থেকে অন্য বাসায় টেনে নেওয়ার দরকার নেই। কিছু অপ্রয়োজনীয়, পুরোনো বা কম প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে দিতে পারেন। অথবা কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। এতে নতুন বাসাটা হালকা দেখাবে। আপনারও টানাহেঁচড়ার ঝামেলাও কমবে। জিনিসপত্র কার্টনে ওঠানোর পর কিসে কী রাখছেন, একটা মার্কার দিয়ে লিখে রাখুন।
নতুন বাসায় যাওয়ার আগেই দরজা–জানালার পর্দার মাপ নিয়ে পর্দা বানাতে দিন। বাসায় উঠেই পর্দা লাগিয়ে দিন। তাতে ধুলা আর রোদের তাপও ঠেকানো যাবে। অন্য দিকে গোপনীয়তা বজায় রেখে ঘর সাজানোর কাজ করা যাবে।
কয়েক দিন আগে থেকেই সবজি, মাছ, মাংস—যা কিছু আছে, খেয়ে ফ্রিজ খালি করা শুরু করুন। খালি হয়ে গেলে বাসা বদলানোর আগের দিন লাইন বন্ধ করে দিন। পরদিন সকালে কেবল বরফগলা পানি ভালোভাবে মুছে নিন। নতুন বাসায় উঠেই ফ্রিজ চালু করবেন না। কয়েক ঘণ্টা পর লাইন দিন। এতে কমপ্রেশর ভালো থাকবে।
সম্ভব হলে ওঠার দুই দিন আগে নতুন বাসায় তেলাপোকা মারার ওষুধ, ন্যাপথলিন আর অ্যারোসল স্প্রে করুন। বাসায় উঠে নতুন করে পরিষ্কার করে তারপর জিনিসপত্র ঘরে তুলুন।
বাসা বদলের সময় একটি ইমার্জেন্সি ব্যাগ রাখুন। যেখানে পানি, ঘরের চাবি, টাকা, ওষুধ, সানস্ক্রিন আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা যাবে। আগেই এলাকার ইলেকট্রিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে রাখুন। নতুন বাসায় ইলেকট্রিক জিনিসপত্রের সংযোগ লাগানো নিয়ে যাতে কোনো ঝামেলা না হয়। কাছাকাছি বাসা হলে পুরোনো বাসার ফ্যান, লাইট, গ্যাস যিনি খুলবেন, তাকেই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
খুলনা গেজেট/কেএ